in , ,

মাইরালামাইরালা কস্কি মমিনকস্কি মমিন সেন্টি খাইলামসেন্টি খাইলাম ভাল্লাগসেভাল্লাগসে

সিএনজিওয়ালা মিটারে যেতে রাজি হওয়ায় হার্ট অ্যাটাক করে যাত্রী কোমায়

পরকীয়ার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্যে সিএনজি ভাড়া করতে গিয়ে সিএনজিওয়ালার মিটারে যাওয়ার কথা শুনে জায়গায় দাড়িয়েই হার্ট অ্যাটাক করেছেন এক যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার শহরের কুতুবনগর এলাকায়। অস্থানীয় প্রতিবেদক সূত্রে জানা যায় সকাল বেলা হঠাৎ করেই তার প্রেমিকা ইমারজেন্সি ভিত্তিতে দেখা করতে বললে সোনা মিয়া নামে ঐ ব্যক্তি বাসা থেকে বের হয়ে সিএনজি নেওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে গেলে সেখানে সে অনেকক্ষন সি এন জি খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে হতাশ হয়ে এদিকে সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এ সময় এক সিএনজিওয়ালা নিজ থেকে এসে উনাকে কই যাবেন জিজ্ঞেস করলে সোনা মিয়া জায়গার নাম বলেন। অতঃপর সি এন জি ওয়ালা মিটারে যাওয়ার জন্য রাজি হন, এই কথা শোনার পর সোনা মিয়া আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান এবং জায়গায় দাড়িয়ে জায়গাতেই ব্রেক মারেন, মানে হার্ট অ্যাটাক করেন আর কি।

এ বিষয়ে সিএনজিওয়ালার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি ভয়ে প্রথমে সিএনজি ফেলেই দৌড় দেন। পড়ে প্রায় আধা মাইল দৌড়ে আমাদের অস্থানীয় প্রতিবেদক যখন তাকে ধরে ফেলে তখন সে ভয়ে বলতে থাকে- “ভাই আমি কিছু করি নাই, আমি কিছু করি নাই” আমাদের প্রতিবেদক তাকে জানান যে “আপনারে ধরতে আসি নাই মিয়া! আমি পুলিশ না! যে যাত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছেন সে বিষয়ে জানতে চাই।”

তখন তিনি বলেন যে “ভাই আমি সকালে স্ট্যান্ডে ছিলাম তখন ঐ লোক আসে আর আরশিনগর যেতে চান আমি মিটারে যেতে রাজি হলে উনি হার্ট অ্যাটাক করে অজ্ঞান হয়ে যান,তখন আশপাশের লোকজন আমার দিকে দৌড়ে আসলে আমি সিএনজি ফালাইয়া কোনমতে জান নিয়া পালায়ে আসি।”

এ ব্যাপারে হাসপাতালে সোনা মিয়ার বউয়ের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তিনি বলেন “আমার স্বামীর এই অবস্থার জন্য ঐ সিএনজিওয়ালা দায়ী। দুনিয়ার কোন সিএনজিওয়ালা মিটারে যেতে রাজি হয় না ও কেনো রাজি হলো? ওই শালাকে আমি পুলিশে দেবো।”

তবে সোনা মিয়ার ভাই ধোনা মিয়া বলেন- “ঐ প্রেমিকার নামেও কেইস করা উচিত। ঐ মহিলা না ডাকলে আমার ভাইয়ের যাইতে হইতো না!” এটা বলেই উনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এদিকে সোনা মিয়ার অবস্থা সম্পর্কে ডাক্তার আমাদের জানান যে- “সোনা মিয়া এখন কোমায় আছেন। উনাকে সুস্থ করতে ডাক্তারি বিদ্যায় কাজ হবে না। তবে ঐ সিএনজিওয়ালা এসে যদি সোনা মিয়ার কানে ফিসফিস করে মিটারে না ৩০০ টাকার কমে যাবেন না বলেন তবেই সোনা মিয়ার জ্ঞান আসার সম্ভাবনা আছে। তাই আমরা অতি শীঘ্রই উনাকে ধরে আনার জন্যে ব্যবস্থা করতেছি! আমাদের হাসপাতলের ইজ্জত বলে একটা কথা আছে। এই রোগীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে করেই হোক সুস্থ করতে হবেই!”

বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।

What do you think?

Written by Bishal Dhar

নাম ধাম তো দেখসেন আর কি দেখেন , অতিরিক্ত কৌতুহল ভালো না যান লেখা পড়েন

Leave a Reply

যে ৯টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন আপনি “সহমত” রোগে আক্রান্ত

১০টি পরিস্থিতি যখন আপনি কোন মিমে হাহা-রিয়েক্ট করেন না