প্লেনে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকা থেকে লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটের দরজা দিয়ে প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সিলেটের ধুর মিয়া নামের এক যাত্রী। ঘটনাসূত্রে জানা যায় ঢাকায় প্লেনে উঠার পর থেকে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে যান তিনি।
এয়ারহোস্টেসকে বারবার জানানোর পরেও এয়ার হোস্টেস ধুর মিয়ার কোন কথা কানে না নিয়ে, তাকে ধুর মিয়া! বলে কানে হেডফোন লাগিয়ে “পোলা ও পোলা তুই অপরাধী রে” গান শুনতে থাকেন। এক পর্যায়ে ধুর মিয়া ককপিটে গিয়ে পাইলটকে জানালেও পাইলট তাকে ধমক দিয়ে বলেন “ধুর মিয়া! এখন মশার স্প্রে কই খুজুম আমি দেখতাসেন না ড্রাইভিং করতাসি!”
ধুর মিয়া তখন মশার স্প্রে না হলেও সিটের নিচে একটি মশার কয়েল জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করে। তাতেও এয়ারহোস্টেস কর্ণপাত না করায় তিনি প্যারাস্যুট খুঁজতে থাকেন। কিন্তু প্যারাস্যুট খুঁজে পেতে পেতে বিমান এয়ারপোর্টের কাছাকাছি চলে আসে। এরপর ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে তিনি টের পান যে এতক্ষন যাবৎ তিনি আসলে প্যারাস্যুটের বদলে আরেকজনের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করতেছিলেন। এ পর্যায়ে তাড়াহুড়া করে পাশের সিটের যাত্রীর প্যারাসুট চুরি করতে সক্ষম হন এবং তা নিয়ে প্লেন থেকে ঝাপ দেন। কিন্তু প্লেন তখন ল্যান্ড করা অবস্থায় থাকায় তিনি মাটিতেই আছড়ে পড়েন এবং তার পশ্চাদে প্রচন্ড রকম ব্যথা অনুভব করেন। নিচে নেমে আসার পর অন্য যাত্রীরা তাকে পাগল পাগল বলে দৌড়ানী দিলে তিনি এয়ারপোর্টের দেয়াল টপকে বাইরে চলে যান এবং স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়লে তিনি সিলেটি ভাষায় তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর না বোঝাতে পেরে হতাশায় তিনি নিজ থেকেই আবারো এয়ারপোর্টের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
এ ব্যাপারে ধুর মিয়ার কাছে জানতে গেলে তার মুখ স্কচটেপ দিয়ে বন্ধ থাকার কারনে আমাদের ধার করা নিজস্ব প্রতিবেদক আর বেশি কিছু জানতে পারেননি।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।