বৃষ্টি-বাদলার দিনে রাইড নিতে না পারায় রাগে ক্ষোভে জিদে খুশিতে ঠ্যালায় উভচর বাইক উদ্ভাবন করে ফেললেন মিরপুরের বিস্ময় বালক। এ ব্যাপারে জানার জন্য আমাদের প্রতিবেদক নৌকায় করে মিরপুর নদী পার হয়ে বিস্ময় বালকের কাছে গেলে তিনি আবেগে কেঁদে দিয়ে বিস্মিত হয়ে যান। পরে কান্না শেষ হলে তিনি আমাদের বলেন “ভাই আমি একজন পাঠাও চালক, কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির সো…নে আমি আসলে কোনো কিছুই করতে পারতেছি না” এইটুক বলে তিনি থেমে যান। এরপর আবার বলা শুরু করেন- “বৃষ্টির জন্য আমি শান্তি মতো রাইডই নিতে পারতেসি না, এই রাইড শেয়ার করে আমার কতগুলা গার্লফ্রেন্ড হইসে জানেন, কিন্তু এই বৃষ্টির জন্য আমার এখন গার্লফ্রেন্ড খরায় দিন কাটতেসে। তাই বাধ্য হয়ে গতকাল রাতে ম্যাকগাইভার ভাইয়ের মত বানায়া ফেললাম উভচর বাইকটা। আশা করি, এখন আর রাইড মারতে সমস্যা হবে না।”
এদিকে এমন তথ্য জানার পর এলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে- “ei pola k amar lagbei lagbey, oke ami kajey lagatey chai” এবং এর একটু পরেই ফেসবুক লাইভে এসে ঘোষণা করেন- “ফ্র্যাংস! আমি ভাবতেছি টেসলা কোম্পানিটা এবার ঢাকাতেই ট্রান্সফার করবো! কি বোলো তোমরা?”
এ সংবাদ জানার পর মিরপুরের বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। অনেকে বিস্ময় বালককে বাংলার ম্যাকগাইভার বলেও সম্মোধন করছে। বাংলার এই ম্যাকগাইভার সাহেবকে এ ব্যাপারে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান “আমি এমন নাম শুনে শিহরিত! আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আর রাস্তায় হাটু পানিতে নেমে আমার আবিষ্কার দেখবেন”
এদিকে বিস্ময় বালকের রাইড নেওয়ার জন্য মানুষ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছে। অনেকে আবার আগে ভাগেই অনলাইনে নিজের রাইড বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
তবে মিরপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আমাদের এ ব্যপারে বলেন- “পানি টানি জমে, গায়ে কাঁদার ছিটা লেগে সেই দাগ থেকে যদি নতুন কিছু হয় তবে দাগ ই ভালো! হে হে!”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।