SHOHOZ এর লাখ টাকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে লাখ টাকা জিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে সুইমিংপুল তৈরি করে সেখানে সাঁতার কাটছেন মিরপুরের আনিকা নামের এক আপু। গোপন সূত্রে জানা যায়, আনিকা হাইজিন নিয়ে খুব সচেতন, তাই অন্যদের মত করোনা আতংক শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি সারাদিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভিজিয়ে রাখছেন। এমনকি খেতে বসেও তিনি খাবারের সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করে পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে বাধার সম্মুখীন হন। তিনি বলেন, “প্রতিদিন খাবার আগে ২ চামুচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে খেলে করোনা আর দুষ্টুমি করবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “খরার এই দিনে ২ টা হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে”। তাই তিনি SHOHOZ এর লাখ টাকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে লাখ টাকা জিতে পুরো টাকা দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে নিজের বাসার সুইমিংপুল তৈরি করে সেখানে মনের সুখে সাঁতার কাটছেন। এই সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই আনিকা আপুর অভিনব এই সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন তার বাসার সামনে ভিড় করছে, তবে আনিকা আপার বাসার দারোয়ান এখন পর্যন্ত কাউকে তার বাসায় ঢুকতে দেয়নি। এ ব্যাপারে আনিকা আপার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন “ভাই নিজে বাঁচলে বয়ফ্রেন্ডের নাম, সারাক্ষন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মধ্যে ডুবে থাকলে করোনা কেনো, করোনার বাপও আমার কিছু করতে পারবে না। শুরুতে SHOHOZ এর থেকে লাখ টাকা জিতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যাওয়ার প্ল্যান থাকলেও, সেখানকার ভিসা না পাওয়ায় ভাবলাম টাকাটা কাজে লাগাই।”
এদিকে আনিকা আপুর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডাকাত (হ্যাডা)র লোকজনেরা। হ্যাডার সভাপতি আমাদের বলেন- “বাংলার ঘরে ঘরে এমন স্যানিটাইজার ডাকাত চাই আমরা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে রেসিপি বানানোরও প্ল্যান করছি আমরা। এই জন্য বিশিষ্ট রন্ধন শিল্পী কাকা আপা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে নুডুলসের রেসিপি বানাচ্ছে, যেন মানুষজন সাঁতার কাটার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেতেও পারে।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।