রংপুরের এক আপুর লক করা ফেসবুক প্রোফাইলের লক ভেঙ্গে প্রায় ৪০০ ছবিতে হাহা রিয়্যাক্ট দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন মতিঝিলের পিয়াস নামের তরুণ। জানা যায়, গতকাল সকালে এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে। ৪০০ ছবিতে হা হা রিয়্যাক্ট আক্রমণের শিকার হয়ে রংপুরের আপুটি দুঃখে কষ্টে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আপুর সাথে কথা বলতে গেলে দেখা যায়, উনি তখনও অজ্ঞান, পরে জ্ঞান আসার জন্য প্রায় ৪ ঘন্টা ওয়েট করার পর আপুটিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্না শেষ হলে তিনি বলেন- “আজ পর্যন্ত আমার কোন বয়ফ্রেন্ড হা হা তো দূরে থাক লাইকও দেয় নেই আমার কোন ছবিতে। সবাই সব সময় লাভ দিয়ে এসেছে। আর এই কোথাকার কোন প্রতিবেশী দেশের ছেলে আমার একটা না, দুইটা না, ৪০০ ছবিতে হা হা দিয়ে পালিয়ে গেল। আমি কোনভাবেই এই অন্যায় মানতে পারছিনা। আপনারা যেভাবেই হোক আমাকে ঐ ছেলের আইডি খুঁজে দেন। আমি ওর ৫০০ ছবিতে হা হা না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিনা” বলেই আপুটি আবার অজ্ঞান হয়ে যান।
তবে ঘটনার পর থেকে পিয়াস পলাতক এবং তার ফেসবুক একাউন্টও ডিএক্টিভেট বলে জানান পিয়াসের এক বন্ধু। পিয়াসের বন্ধু আমাদের জানান, মূলত কাউন্টার হা হা থেকে বাঁচতেই পিয়াস আইডি ডিএক্টিভেট করে পলাতক রয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে পিয়াস এই কাজটি করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
ঘটনা জানার পর জাকারবার্গ ভাইও তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে #হ্যাশট্যাগ_রংপুরের_আপ্পে_উই_আর_উইথ ইউ দিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এমনকি জাকার ভাই আপুর প্রোফাইল থেকে সকল হা হা রিয়্যাক্ট লেজার পদ্ধতিতে তুলে ফেলবার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশ হা হা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বাহাহাই) পিয়াসের এই কাজটিকে দেখছে যুগান্তকারী এক দৃষ্টান্ত হিসেবে। “বাহাহাই” এর সভাপতি হাহাউজ্জামান বলেন- “এই ছেলে তো জেম, আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে গিনেস বুকে স্থান কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা আমি গত তিনদিন ধরে মাথা চুলকেও বের করতে পারছিনা। ৪০০ ছবিতে হা হা কি মনে করেছেন আপনি। পিয়াসের নাম যদি গিনেস বুকে না উঠে তবে আমরা বাহাহাই এর সকল সদস্য গিনেস বুকের ফেসবুক পেইজের সব পোস্টে গিয়ে গনহারে হা হা দিব।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।