সালামি দেওয়ার ভয়ে আকাশের দিকে পা তুলে পুরো ঈদের দিন কাটালেন ময়মনসিংহের নাসির নামের এক ব্যক্তি। তিনি এমন অভিনব কায়দা অবলম্বন সম্পর্কে বলেন কেউ যেন সালাম করে সালামি না নিতে পারে সেজন্যই তিনি এমনটা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ব্যপারে উল্টো হয়ে শুয়ে থাকা নাসির ভাইয়ের কাছে এমন অভিনব আইডিয়া কই থেকে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- “ভাই আমি আসলে একজন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ। আর ভার্সিটিতে থাকতে আমি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আমার এধরণের অভিজ্ঞতা অনেক আগে থেকেই আছে। মূলত বেয়ার গ্রিলস ভাইয়ের লম্ফ-ঝম্পের শো দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলাম আরকি। একদিকে মনে করেন সালামিও দেওয়া লাগতেসে না আবার ধরেন ভাইরালও হয়ে গেলাম। আমার সুন্দর কইরা উল্টো হয়ে থাকার একটা ছবি তুলেন তো।”
এদিকে ঐ ভাইটির উল্টো হয়ে থাকার সংবাদে এলাকার সালামি প্রত্যাশী ছোট ভাইয়েরা সালামি চাই দিতে হবে এমন স্লোগানে রাজপথ কাপিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। এক ছোট ভাই ২০ টাকা সালামি দেওয়ার শর্তে আমাদের প্রতিবেদককে বলেন- “আমাদের সালামি গেরিলা বাহিনী অলরেডি প্রস্তুত আছে, ভাই সোজা হলেই খপ করে সালাম করে ফেলবো। তখন পালাবে কোথায়।”
এদিকে এই ভাইয়ের বেয়ার গ্রিলস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এমন উল্টো হয়ে থাকার সংবাদে বেয়ার গ্রিলস নিজেই ভীষণ টাস্কি খেয়েছেন। তিনি টাস্কি খেয়ে জানান- “খোব নাইস আমি ক্যান যে ঈদের দিন এমন উল্টো হয়ে থাকলাম না, তাইলে আর এলাকার ছোট ভাইগুলা আমার শখের জমানো নতুন বিশ টাকার নোটগুলা সালাম কইরা নিয়া নিতে পারতো। আমি মিরপুরের ভাইটিকে গোলাপি সালাম জানাই।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।