আজ সকালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাদের নিউজ ডেস্কে ফোন করে না পেয়ে পরে নিউজ টেবিলে ফোন করে জানিয়েছেন যে অবশেষে তারা খুঁজে পেয়েছেন ঠিক কি কারণে হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে একযোগে সমস্যা হওয়া শুরু করেছিল। এ ব্যাপারে ফেসবুকের তদন্ত কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি জনাব ক্যারামত মোল্লা বলেন- “দেখেন ভাই, জীবনে অনেক ক্যারামতি দেখছি কিন্তু এইরকম ক্যারামতি আমি আমার জীবনে দেখিনাই। ঐ যে নোয়াখালী না নিউ ক্যালি কি যেন নাম ওই এলাকার? আচ্ছা যাই হোক, ঐখানকার কোন একটা গ্রূপ এই আকামডা করছে। হেরপর হেগোরে আশ্বাস দেয়ার পর হেরা ছাইড়া দিছে ভাই!” তবে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডু নট ট্রাম। তিনি তার এক ক্ষোভবার্তায় জানান- “শালারপুতেরা তোদের খবর আছে, তাড়াতাড়ি ফেসবুক ফেরত দে নইলে আনুমানবিক বুম মাইরা সানডে-মানডে ক্লুজ কইরা দিমু!” কিন্তু এমন ক্ষোভ বার্তাকে উড়িয়ে দিয়ে এনএএফের মুখপাত্র গ্যাঞ্জাম মিয়া জানান- “তোরে ধরি, এমন হিডা দিয়ুম হুগার পো, এক্কারে আজীবনের লাই তোর চৌদ্দগুষ্টির নাম ভুলি যাইবি, আঁর নাম কইলাম গ্যাঞ্জাম মিয়া!”
তবে তারা কোনো প্রকার মুক্তিপণ দাবি করেনি, তারা শুধুমাত্র পুরো বিশ্বকে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই এমনটা করেছেন বলে দাবি করেন – আম্রিকান ইন্টেলিজেন্স কেআইএ। অন্যদিকে ফেসবুকের জোকারবার্গ ফেসবুক বন্ধ পেয়ে এক টুইট জানান- “Vyrevy! amakao aj twit korta holo, oi fazil salardar guli kora dita icca kortaca, salara amaka Zuker thaka Joker banaya carlo 😞“
তাই সরাসরি এ ব্যাপারে এনএএফের মুখপাত্র গ্যাঞ্জাম মিয়াকে ফোন করলে তিনি জানান- “দেকেন ব্রো, আঁরা আংগো ল্যান্ড ফেরত চাই, ইগাতো অন্যায়ের কিচু ন, বুইজ্জেন্নি। তয় হেতেরা যেহেতু আংগোরে থ্রেট মাইচ্ছে, আঁরা হেতাগো সাই লৈউম, আঁরা এবার আংগো দলবল লৈ ঢাকা এট্যাক না কইত্তে হারলেও ঢাকা এট্যাক মুভিখান সাই সলি আমু”। তবে বিভাগ চাওয়া বাদ দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র চাওয়া নিয়ে জিজ্ঞেস করলে বাম পাশ থেকে উনার ডানহাত হোন্দাই মিয়া বলেন- “হেহে, বুজ্জেন্নি, আঁরা আসলে এহন রাষ্ট্র চাই কিল্লাই, কারণ তাইলে সরকার আংগো বিবাগ করি দিতে বাইদ্য হইবো। আঁরা অইলাম নোয়াখাইল্যা মাল, চান্দে গেলেও আংগোরে ফাওন যায়, আংগোর লগে হিসাব কইরা কেউ জীবনে জিতছেনি কোহনো? হুইঞ্চেন্নি? হেহে!”
কিন্ত এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে দেখা যায়, ঐখানেও কতিপয় নোয়াখাইল্যা রয়েছেন। তাই এ ব্যাপারে তারা মুখ খুলতে রাজি হননি।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।