ঢাকাবাসীর জীবনের খাতায় একের পর এক এত সম্মান এসে জুটছে যে আর কিছুদিন পর শুধুমাত্র নিজেদেরকে এমন সম্মানী শহরের একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে দেখতে পৃথিবীর আর দশটা উন্নত শহর থেকে সবাই এখানে চলে আসবে কিনা সেটাই এখন ভাববার বিষয়। তার উপর নাসার উচ্চপদস্থ গবেষকরা জানিয়েছেন যে এখন থেকে ঢাকার মানুষদের নিশ্চিন্তে মহাবিশ্বের যেকোনো স্থানে পাঠানো সম্ভব। কারণ এরা নিঃসন্দেহে যেকোনো দুর্গম গ্রহে টিকে থাকতে পারবে। তাই অতি দ্রুত এদেরকে সম্মানিত করতে আমাদের সকলের উচিত ঢাকাবাসীকে নোবেল পুরস্কার দেয়া। কিন্তু কেন দেয়া উচিত? চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক-
#১
জীবনের অর্ধেক সময় জ্যামে বসে থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা হাজার গবেষণা করেও ঢাকাবাসীর ধারে কাছের মতো ধৈর্য আর কোনো জাতির কাছে খুঁজে পাবেন না
#২
মশার কামড় খেতে খেতে এদের অবস্থা এমন হয়েছে যে এখন পৃথিবীর যেকোনো বিষাক্ত প্রাণীও এদের কামড় দিলে উল্টো নিজেরাই মারা যাবে।
#৩
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই যেভাবে ড্রেনের নোংরা পানির সাথে এদেরকে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয় তাতে বোঝাই যায় এরা এখন উভচর প্রাণীর খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছে
#৪
ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত নয়, ঘুমিয়েও এদেরকে নিঃশ্বাসের সাথে যে পরিমান ধুলা গ্রহণ করতে হয় তাতে মঙ্গল গ্রহের বিষাক্ত বাতাসও এদের কিছুই করতে পারবেনা
#৫
লাইনের শেষে থেকেও কিভাবে ধাক্কাধাক্কি করে প্রথম হতে হয়, তা শুধু এরাই জানে। এমন অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারীদের আর কোনো জাতি কোন কিছুতেই পিছিয়ে রাখার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়নি যে, তা নিশ্চিত
#৬
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যা-ই হোক না কেন, রাস্তায় খোড়াখুড়ি তো এখানকার কমন ব্যাপার। তাই পৃথিবীর, এমনকি পৃথিবীর বাইরের যেকোনো দুর্গম স্থান পারি দেয়া এদের কাছে ডালভাত
#৭
নেতা-মন্ত্রীদের চরম মিথ্যা আশ্বাস শুনতে শুনতে এদের এখন আর কোনো কিছুতেই যায় আসে না, তাই মানষিক ভাবেও এরা অন্য জাতি থেকে অনেক শক্তিশালী
#৮
সারাদিন বিভিন্ন রকমের যানবাহনের হর্নের মাঝেও এরা নিজেদের মাঝে সুন্দর কথা চালিয়ে যেতে পারে তাই বলাই যায় যে এদের মনোযোগ ক্ষমতাকে পৃথিবীর আর কোন জাতি পার করতে পারবেনা
#৯
পুরো শহরকে জড়িয়ে রাখা অলিগলি ঘুরেও এরা যেভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সুতরাং পৃথিবীর এমন কোন maze নাই যে এদেরকে আটকাবে
#১০
ভেজাল খাবার খেয়ে খেয়ে এদের হজমশক্তি এখন এতটাই প্রখর যে, কোন এলাকায় যদি খাবার নাও থাকে এরা শুধু মাটি/পাথর খেয়েও বেঁচে থাকতে পারবে দিনের পর দিন