অনেক অপেক্ষার পর আজকে নেটফ্লিক্সে রিলিজ হলো ক্রিস হেমসোর্থ অভিনীত মুভি “এক্সট্রাকশন” । “এক্সট্রাকশন” নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে হাইপ একদিনে তৈরি হয় নি। এজন্য মুভিটিকে ঘিরে সাধারণ দর্শক হিসেবে আমাদের আকাশচুম্বী এক্সপেকটেশন ছিল। মুভিটি সেই এক্সপেক্টেশন এর কতটুকু পুরণ করতে পেরেছে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক কিছু সিন নিয়ে ঘাটাঘাটি করে।
ভালোলাগার দিকগুলো
১. মুভি এবং ট্রেইলারের শুরুর দিকে দেখানো এই আন্ডারওয়াটার শট এর গুরত্ব মুভির শেষ নাগাদ পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখবেন এরকম সিন গুলো যেন মিস না হয়ে যায়
২.মুভিতে সাজু চরিত্রটির ভূমিকায় রন্দিপ হুদার অভিনয় এবং একশনের জন্য তাকে বাহবা দিতেই হয়
৩. এক্সট্রাকশন মুভির ডিরেক্টর স্যাম হারগ্রেভ মুভির একশন কোরিওগ্রাফিতে কোন কমতি রাখেননি, এমনকি মুভিতে তার ক্যামিও আছে।
৪. পঙ্কজ ত্রিপাঠির মতো শক্তিমান একজন অভিনেতার স্ক্রিন টাইম খুবই অল্প, হয়তো নেটফ্লিক্স ভিউয়ারদের কাছে তার ফেইস ভেল্যুর কারণেই তাকে নেওয়া হয়েছে।
৫. মুভিটিতে রিয়েলিস্টিক স্টান্টে পরিপুর্ণ একাধিক কার চেইজ গুলো ছাড়াও দেখার মতো একশন ছিল এই ফিস্ট ফাইটে।
৬. এক্সট্রাকশন এর শ্যুটিং ইন্ডিয়া এবং থাইল্যান্ডে হওয়া সত্বেও মুভির প্লট ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় এতে আছে ঢাকা শহরের চোখ ধাঁধানো কিছু ড্রোন শট। যা দেখার পর গুজবাম্পস গ্যারান্টিড।
যা আরো ভালো হতে পারতো
৭. বাংলাদেশি ক্রাইম লর্ড এর ভুমিকায় প্রিয়াংশু পাইন্যুলি এর অভিনয় দেখে তাকে কোন দিক দিয়ে বাংলাদেশি মনে হয়নি। ভাষা এবং অ্যাক্সেন্টগত সমস্যা পুরো মুভি জুড়ে থাকলেও, তার সংলাপ বেশি হওয়ায় তার অবাঙালি হওয়ার প্রমাণ বারবার পাওয়া যায়।
৮. মুভির প্রোডাকশন ডিজাইনে সর্বোচ্চ এফোর্ট দেওয়া হলেও তা ১০০ ভাগ নয়। একেকটা দৃশ্য দেখলে যেমন মনে হয় যে ঢাকার গলিতেই আছি, আবার “বিরিয়ানি সেন্টার” নামে বিরিয়ানির দোকান বা এলিট বাহিনির গাড়িতে “এলটি” লেখা চোখে পড়ে সহজেই।
৯. এমনকি বাংলাদেশের বাজারের দৃশ্যে হিন্দিতে লেখা সাইনবোর্ড দেখলেও মন খুঁত খুঁত করে।
১০. মিউজিকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এরকম। যেমন এই দৃশ্যে একই বিল্ডিং এর পর পর তিন বাসায় হিন্দি গান বাজতে থাকার ব্যাপা্রটা ইগ্নোর করা যায় না।
১১. এছাড়া মুভিতে বেশ কিছু প্লটহোল আছে যা আপনার চোখ এড়াবে না।
ভালো লাগা + (প্লাস)
১২. মুভিটি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে বানানো এবং বাংলা বছরের প্রথম মাসে রিলিজ হওয়ার কথা মাথায় রেখেই হয়তো তারা মঙ্গল শোভাযাত্রার এই দৃশ্যটি রেখেছেন। আমাদের সংস্কৃতির এই অংশটুকু তারা বিবেচনায় রেখেছে – এই ব্যাপারটি আপনার মন ছুঁয়ে যেতে বাধ্য!
১৩. এবং হ্যা, নববর্ষের দিন কালো ড্রেস পরিহিত মানুষ, যে যতোই আকর্ষনীয় হোক, তার থেকে সাবধান থাকাই উত্তম।