জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকের স্বাভাবিক কার্যবিধি গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ করে অচল হয়ে যায়। তখন থেকে অনেকেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কোন প্রকার স্ট্যাটাস বা ছবি পোস্ট করতে সমস্যায় পড়েছেন, কেউ কেউ কোন পোস্টে লাইক-কমেন্ট করতে পারছেন না, কেউ কেউ আবার মেসেঞ্জারেও ছবি পাঠাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। হঠাৎ এসব সমস্যা দেখা দেয়ায় জনমনে সৃষ্টি হয় অজানা এক ভীতির। বিরোধীদলের অনেকেই একে সরকারের কোন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করতে থাকেন। কিন্তু রাত গড়াতেই জানা যায় আসল কাহিনী।
নোয়াখালীতে বসবাসরত বাংলাদেশী এক কিশোর এই কান্ড ঘটিয়েছে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারে প্রেমিকা লাভ রিয়্যাক্ট না দেয়ার কারণে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে গতকাল রাতে শনাক্ত করবার পর সে বেশ কিছুক্ষণ ‘আঁই কিচ্ছি আঁই কিচ্ছি’ বলে চেঁচামেচি করলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দোষ স্বীকার করে নেয়। আলাউদ্দিন খয়ের (১৭) নামের এই কিশোর ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারের একজন ছাত্র। এই বয়সেই ফেসবুকের সকল গোপন রহস্য তার হাতের মুঠোয়। সে জানায় ক্লাস নাইনে পড়া তার প্রেমিকা হেপি (১৪) অন্য ছেলেদের ছবিতে নিয়মিত লাভ রিয়্যাক্ট করলেও তার আপলোড করা নতুন প্রোফাইল পিকচারে লাইক দেয় যা কিনা তার কাছে এক ধরনের অপমান মনে হয়। বুকে কষ্ট নিয়ে হেপিকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে হেপি বিরক্ত কণ্ঠে তাকে বলে “ভাল লাগলে থাকবা, না থাকলে নাই। আমার যা মন চাইসে দিসি”। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আলাউদ্দিন ফেসবুকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করে। হেপি যাতে আর কারো ছবিতে কোন প্রকার রিয়্যাকশান দিতে না পারে সেজন্যে সে সব পথ বন্ধ করে দিতে চায়। এরপর থেকেই ফেসবুকে সবাই নানা রকম সমস্যা ফেইস করা শুরু করে।
এদিকে পুলিশের আইজিপি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা ভয় পাবেন না। অপরাধী তার প্রাপ্য শাস্তি পাবে। তবে এর পেছনে আরো কোন গভীর কারণ আছে নাকি তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি”।
উল্লেখ্য যে, প্রেমিকা হেপির সাথে যোগাযোগ করতে যেয়ে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।