গতকাল বিকেলে কাক্কুর নাস্তার দাওয়াতে যোগদানের জন্য নুরু মিয়া ‘উঠাও’ এ করে কাক্কুর বাসভবন পল্টিপুরে যান এবং কাক্কুর সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় কাক্কু নুরু মিয়ার অদ্ভুত বিরল পল্টি প্রতিভা দেখে তাকে তাঁর যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
গতকালের সাক্ষাতের জের ধরে আজ সকালে কাক্কু তার ফেক একাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাস দেন, সেখানে কাক্কু উল্লেখ করেন যে, “নুরু মিয়ার মাঝে ভবিষ্যৎ কাক্কুর ছায়া দেখতে পেয়েছেন তিনি”। কাক্কু একই সাথে এই আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন যে অদূর ভবিষ্যতে সে ‘কাক্কু’ টাইটেলের সম্মান রাখতে পারবে।
আমাদের পল্টিবাজ প্রতিনিধি যে দুইদিন পর পর চাকরি ছেড়ে আবার ফিরে আসে সে কাক্কুর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাক্কু তাকে বলেন যে, “আমি খুবই শংকায় ছিলাম যে আমার পরে কে হবে বাংলাদেশের পরবর্তী কাক্কু। কার মধ্যে থাকবে এমন গুন যে মুহূর্তেই পল্টি নিতে সক্ষম। এজন্য তিন সদস্যের এক বিশেষ কমিটি গঠন করেছিলাম যারা সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন ট্রাকে করে ঘুরে এমন কেউ একজনকে খুঁজে আনবে যে কাক্কুর লিগেসি ধরে রাখতে পারবেে। এখন আমার সেই কমিটির জন্য খরচ করা টাকাটা পুরোপুরি গচ্চা গেলেও মনে আফসোস নেই। কারন গুরু আমি পেয়েছি ‘নুরু’- এ তো সবে শুরু, আর কি চাই”! যদিও ‘নুরু মিয়া’র মধ্যে ‘কবি এবং প্রেমিক’ প্রতিভার তেমন কোনো লক্ষণ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন কাক্কু।
নুরু মিয়াকে এ ব্যাপারে জানার জন্য ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরে আমাদের নাম শুনেই আমাদের নাম্বার ব্লক করে দেন। পরে অন্য নাম্বার থেকে চেস্টা করে তাকে পাওয়া গেলে কাক্কুর বিষয়টি খুলে বললে তিনি কথা বলতে রাজি হন। তখন তার মাঝে আমাদের কাক্কু ভবিষ্যৎ কাক্কু দেখতে পান বললে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে নাক মুছতে মুছতে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন “এ আমার জন্য দারুণ এক সম্মান, আমি চেস্টা করবো কাক্কুর সম্মান ধরে রাখার। ভবিষ্যতে শুধু পল্টি নয় যেনো বড় বড় ডিগবাজি খেতে পারি সে ব্যাপারে আমার জন্য দোয়া করবেন।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।