অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডে খোলা হলো মুরাদ টাকলা বিভাগ। এর ফলে বাংলাদেশে মুরাদ টাকলা সমাজে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। মুরাদ টাকলা সমিতির সভাপতি টাকলা মুরাদের ছোট ভাই ফোকলা মুরাদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি আমাদের বিখ্যাত ও নিজস্ব সাংঘাতিক বিকার মোল্লার মাধ্যমে বলেন- “aj amedar bigoya den, amedar negedar dasa amedar amedar nea hase tatta kora holao bissar name bissobeddaloy amedar kodor tek i bogta parasa, tae aj sakhana amedar janna alada bevag kola hoyasa. Amra kob gorbeto” (আজ আমাদের বিজয়ের দিন, আমাদের নিজেদের দেশে আমাদের নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হলেও বিশ্বের নামি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কদর ঠিকই বুঝতে পেরেছে তাই আজ সেখানে আমাদের জন্য আলাদা বিভাগ খোলা হয়েছে, আমরা খুবই গর্বিত আজ)
এ ব্যাপারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিজে থেকেই ফোন দিয়ে আমাদের বলেন- “আমরা গত কয়েক বছর ধরেই মুরাদ টাকলা ভাষা নিয়ে গবেষণা করছিলাম এবং শেষমেশ আমরা যা দেখতে পাই রাসেল ভাই তা আমাদের কল্পনারও অতীত ছিল। মুরাদ টাকলা সাধারণ কোন ভাষা নয়, মানব সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হয় তবে মুরাদ টাকলাই হবে আমাদের একমাত্র মাধ্যম। মুরাদ টাকলা বলা এবং লেখার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে দক্ষ হতে হবে। আসলে যে কারো পক্ষে এই ভাষা ডিকোড করা অসম্ভব। ভবিষ্যতে যুদ্ধে কোড ওয়ার্ড হিসেবে মুরাদ টাকলা ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমরা কৃতজ্ঞ সেসব বাংলার টাকলা ভাষা সৈনিকদের কাছে যারা হাজারো প্রতিকুলতার মাঝে এই ভাষাকে দিনের পর দিন বিকশিত করে চলেছেন। টাকলা ভাইদের আমরা এই ডিপার্টমেন্টে ফ্যাকাল্টি হিসেবে চাচ্ছি”।
এদিকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন ভাষাকে কেন নিজেদের বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করছেন না তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানান রকম সমালোচনা। অনেকেই ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে তীব্র আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।