ইফতারে মুড়িমাখায় জিলাপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে ধানমন্ডিতে। জানা যায় সংঘর্ষ এত তুমুল পর্যায়ে ছিলো যে আশপাশের এলাকা থেকে ভাড়াটে গুন্ডারাও নিজ দায়িত্বে এসে গ্যাঞ্জামে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৫০ জনের অধিক মানুষ আহত হয়েছে এই গ্যাঞ্জামে। গ্যাঞ্জামে জিলাপি পার্টির আহত একজন বলেন- “মুড়িমাখায় জিলাপি খায় না যে জন কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন, জিলাপি হচ্ছে মুড়িমাখার স্বাদ বাড়ানোর মেইন ইনগ্রিডিয়েন্ট আর আর শালার এই মুড়িমাখাই খাইতে চায়না, এইডা কোন কথা। আমরা ঈদের পর মুড়িমাখায় জিলাপি যাতে খেতেই হয় এই নিয়ে আন্দোলনে যাবো”
জিলাপি খাবোনা পার্টির আহত আরেক সদস্য হাতে ব্যান্ডেজ মাথায় পট্টি যার বাসা ফলপট্টি তিনি আমাদের বলেন- “মুড়িমাখা হচ্ছে ঝাল জিনিস এর মাঝে কেউ জিলাপি খায়, এইডা কোন ধরনের ককটেল, এই ধরনের ককটেল তো আমি বাপের জন্মেও দেখিনাই। মুড়িমাখায় জিলাপি আমাদের সংস্কৃতির অংশ না, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। ঈদের পর এই মুড়িমাখায় জিলাপি নামক এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমরাও আন্দোলনে নামবো।”
এদিকে মুড়িমাখায় জিলাপির থিওরি থেকে কেকাপ্পাও নাকি উনার পরবর্তী এপিসোডগুলোতে বিভিন্ন রেসিপিতে কিভাবে জিলাপি অ্যাড করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করছেন। উনার ব্যক্তিগত সহকারী নুডুলস খেতে খেতে এ বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন যে – “আরে ভাই, আমাদের ম্যাডাম হলো, এই যুগের সর্বকালের, সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। অনেকেই উনারে আইনস্টাইনের পরের স্থানে বিবেচনা করেন। উনারা কাছে এই খবর ইতিমধ্যে চলে এসেছে। উনি আগামী এপিসোডেই নুডুলস জিলাপির রেসিপি নিয়ে হাজির হবেন বলে আশা করছি।”
কেকাপ্পার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারীর এমন কথাগুলোকে শীতল হুমকি মনে করে আমাদের প্রতিনিধি আজ বিকেলেই টিকেট কেটে উগান্ডা চলে গেছেন। তবে যাওয়ার আগে এক চিরকুটে জানিয়ে গেছেন যে কেকাপ্পার এই অনুষ্ঠান শেষ হলে উনাকে যেন জানান দেয়া হয়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।