ইফতারের পর সিড়ির নিচের বিড়ির দোকানে দৌড় দিতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন ইউনাইটেড স্টেটস অব নোয়াখালীতে। সেই ধাক্কাধাক্কিতে আহত হওয়া নোয়াখালীতে নিযুক্ত আমাদের পররাস্ট্র প্রতিবেদক আমাদের বলেন- “ভাই খালি ইফতারিটা শেষ হলো আর সাথে সাথে মানুষজন একসাথে বাসা বাড়ি থেকে বিড়ির দোকানের জন্য যে দৌড়টা দিলো এমন দৌড় শেষ মানব ইতিহাসে এন্ডগেমের টিকেটের জন্য দেখা গিয়েছিলো। এ যেন একেকজন বাংলার উসাইন বোল্ট।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিড়ির নিচে বিড়ির দোকানের সেই মামা বলেন- “মানুষজন বিড়ি খাওয়ার জন্য এত ডেস্পারেট দেখে আমার আবেগে চোখে পানি আইসা পরসে মামা”।
এদিকে কান বেলাল নামে এক তরুন যিনি প্রতিদিন ইফতারের পর আমি একটু আসছি বলে বাসা থেকে বের হয়ে বিড়ির দোকানে যান কালকের ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ধরা খেয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন- “ভাই লজ্জায় কোথায় মুখ তো দূর নাক ও দেখাইতে পারতেসি না, আব্বা থ্রেট দিয়া রাখসে বাসায় গেলে আবার মেরে আহত করে দিবেন”। তার কথা শুনে আমাদের প্রতিবেদক চলে আসার সময় দেখেন হাসপাতালের করিডোরে কান বেলালের আরেক ফ্রেন্ড ঘোরাঘুরি করতেছে। তাকে এই ঘোরাঘুরি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- “ভাই, আমিও ধরা খাইছি, বাসায় গেলে আব্বায় কইছে মাইরা ফাটাইয়া ফালাইবো, হেল্লিগা হসপিটালের বেড এডভান্স বুকিং দেয়ার জন্য ঘুরতেছি। ভাই, আমার জন্য দোয়া কইরেন যেন একটা ভালো সিট পাই।”
এমন হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেছেন ফিলিপ মরিস সহ ব্রিটিশ পরিবারের সন্তান বেনসন ও হেজেস নামক দুইজন। তারা তাদের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।