একটা ব্যাপার খেয়াল করলেই দেখবেন, পহেলা বৈশাখ সবার কাছেই কিন্তু সমানভাবে এক্সাইটিং না। আবার পহেলা বৈশাখকে ঘিরে আপনার এক্সাইটমেন্টও যে উঠানামা করে, তা একটু হলেও টের পাওয়া যায়। আসলে সময়ের সাথে সাথে একেক বয়সে বৈশাখের আমেজও বদলায়।
১. স্কুলে থাকার বয়সে পহেলা বৈশাখের আমেজটা থাকে পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক। স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কিংবা বাবা-মায়ের সাথে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই দিন শেষ
via GIPHY
২. কলেজে উঠে সবারই কম বেশি পাখা গজায়। পরিবারের সাথে যতটা না সময় দেওয়া হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটানো হয় বন্ধুদের সাথে। মঙ্গল শোভা যাত্রায় যাওয়া, বিভিন্ন এক্সাইটিং রাইডে উঠা কিংবা প্রথম কোনো বড় কনসার্টে যাওয়া – সবই থাকে সারাদিনের প্ল্যানে
via GIPHY
৩. ভার্সিটিতে উঠার পর পহেলা বৈশাখের রঙ হয় অন্যরকম । ভার্সিটিতে বৈশাখ উদযাপনের আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া, নাচে-গানে সারাদিন মেতে থাকে সবাই। কনসার্টে যাওয়ার পরিমাণও বাড়ে
via GIPHY
৪. চাকরী জীবনে ঢোকার পর বৈশাখী আমেজে একটু টান পড়ে। অনেকেই ছুটির দিন পেয়ে অর্ধেক বেলা পর্যন্ত ঘুমায়। তারপর বিকালের দিকে কাছের বন্ধুবান্ধব কিংবা পার্টনারকে নিয়ে বের হওয়া, রাতে পরিবারকে সময় দেওয়া
via GIPHY
৫. বিয়ের পর আবার কয়েক বছরের জন্য বৈশাখের হাওয়া মনে লাগে। পার্টনারকে নিয়ে সকাল সকালই ঘুরতে বের হয়ে যাওয়া, তারপর সুন্দর সুন্দর ছবি তোলা কিংবা বাসায় থেকেই আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবদেরকে দাওয়াত করে খাওয়ানো।
via GIPHY
৬. বাচ্চা-কাচ্চা হওয়ার প্রথম কয়েক বছর হয়তো বৈশাখে অতটা বাইরে যাওয়া হয় না। কিন্তু সন্তান যত বড় হয় তাকে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আনন্দ ক্রমশ বাড়তেই থাকে।