টিআইবি-এর গবেষণা প্রতিবেদনের জবাবে ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেছিলেন- ঢাকা ওয়াসার পানি শুধু শতভাগ সুপেয় না এটা পরশপানিও।” হাতের কাছে এমন সুপেয় ও পরশপানির সন্ধান দেয়ায় ঢাকাবাসী ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে ওয়াসার এমডিকে খাওয়ানোর জন্য ওয়াসা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। কিন্তু এমন আতিথেয়তা নিতে এমডিকে অফিসে আসতে দেখা যায়নি। এমডির প্রক্সি দিতে আসা এক প্রকৌশলীকে শরবত খেতে বললে তিনি জানান- “আজ আমি শরবত খাবো না।” ওয়াসার কর্মকর্তারা সেই শরবত না খাওয়ায় বেঙ্গল বিটসের হয়ে নাজমুল হক কড়া রোদের মধ্যে জ্যাম ঠেলে ওয়াসা ভবনের সামনে গিয়ে ঢকঢক করে কয়েক গ্লাস পরশপানির শরবত খেয়ে আধ্যাত্বিক জ্ঞান লাভ করে বের করার চেষ্টা করেছেন, কেন ওয়াসার কর্মকর্তারা এই পরশপানির শরবত খেতে চাননি।
#১
গতকাল রাতে ওয়াসার কর্মকর্তাদের বাবু মানে প্রেমিকা (কিংবা বউও হতে পারে) ঝগড়া করে কিছুই খাননি। আর কর্মকর্তারাও টিনেজ ন্যাকামিপূর্ণ কন্ঠে প্রেমিকাকে বলেছেন- “তুমি না খেলে আমিও খাবো না।” এরপরই আসলে তিনি ধরা খেয়ে গিয়েছেন। তাও যদি সামনে ক্যামেরা বা আশেপাশে সাংবাদিক না থাকতো তাহলে না হয় খাওয়া যেতো! কিন্তু এভাবে ক্যামেরার সামনে খেলে কোনভাবেই ব্রেকাপ টেকানো যাবে না। সেজন্যই তিনি সোজা জানিয়ে দিয়েছেন-আজ আমি শরবত খাবো না।
#২
ছোট বেলায় ওনারা গোল্ডেন টাচ গল্পটি পড়েছেন। আজকে ধুম কইরা ওনাদেরর সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেছে। তিন ভেবেছেন এই পরশপানির শরবত খেয়ে যদি গোল্ডেন টাচ গল্পের মতো সবাই সুপেয় শরবত হয়ে যান তাহলে এই গরমে আর টেকা যাবে না। মানুষ কারওয়ান বাজারের জ্যামে ঘেমে গেলেই বাস থেকে নেমে ওনাদেরকেই খেয়ে ফেলবে।
#৩
সারা পৃথিবীর তিন ভাগ জল হলেও সেখানে বেশিরভাগই লবনাক্ত পানি। পৃথিবীতে খুব কম পরিমাণে মিঠা পানি। তার উপর সেই মিঠা সুপেয় পানিতে লেবু, চিনি মিশিয়ে খাওয়াকে ওনারা বিলাসিতা হিসেবেই দেখছেন। সেজন্যই খেতে আসেননি।
#৪
#৫
শরবত খাওয়াতে আসা মানুষেরা যেই পরিমাণ শরবত এনেছে তা দিয়ে ওয়াসার সকল কর্মকর্তাকে শরবত খাওয়ানো যাবে না। “কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না” এই নীতিতে বিশ্বাসী ঢাকা ওয়াসার কোন কর্মকর্তাই সুপেয় পানির শরবত খেতে রাজি হননি।