সম্প্রতি জয়া আহসানের বিয়ে-শাদী বিষয়ক খবর শুনে জয়া আহসানের মাকে ফোন করেছেন সবার প্রিয় বলিউডের সাল্লু ভাই ওরফে সালমান খান। অবিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে জয়া আহসানের বিয়ের চাপ-এর কথা শোনার পর থেকেই সালমান খানের মন আকুপাকু করতে থাকে, কিন্তু তখন মধ্যরাত এবং মোবাইলে ব্যালেন্স না থাকায় সালমান খান জয়া আহসানের মাকে ফোন করতে পারেননি। পরে সকাল হওয়ার সাথে সাথে নিচে গিয়ে সঞ্জয় দত্তের বিকাশের দোকান থেকে রিচার্জ করে সাথে সাথে জয়ার মাকে ফোন লাগান তিনি। এ ব্যাপারে জানার জন্য সালমানের পিএসের নাম্বারে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান- “স্যার এখন জয়া আপাকে ইম্প্রেস করার জন্য তার প্রিয় খাবার কালোজিরা ভর্তা দিয়ে চেটেপুটে ভাত খেয়ে নিজের পার্সোনাল জিমে গিয়ে অনবরত পুশআপ মারতেছেন এবং সিক্স প্যাক কে এইট প্যাক করে তবেই ক্ষ্যামা দিবেন। আপনারা একটু পরে ফোন করেন, দৌড়ানি শেষ হলেই আমি কল দিচ্ছি।”
পরে আবার চেস্টা করা হলে কেটে সালমান খান নিজে তার নাম্বার থেকে কল ব্যাক করে আমাদের সাথে কথা বলেন। বলিউডে এত এত নায়িকা থাকতে ভিনদেশী জয়া আহসানকে কেনো বিয়ে করতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন- “ভাই আমি আসলে জয়াকে বিয়ে করার জন্যই এতদিন বিয়ে করিনি। আমার সারাজীবনের স্বপ্ন ছিলো জয়া আহসানকে বিয়ে করা। এতদিন জয়া রাজি হয়নি বলেই আমি নিজেও মুখ ফুটে বিয়ের কথা বলতে পারিনি কিন্তু ভেবে ভালো লাগছে আমারো বিয়ের ফুল ফুটবে।”
এদিকে জয়াকে বিয়ে করতে চাওয়ার কথা শুনে “সালমান খানের থেকে ছ্যাক খেয়েছি” কমিটির সদস্য কতিপয় সাবেক, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নায়িকারা শাহরুখ খানের বাড়ির সামনে মানববন্ধন শুরু করেছেন। তাদের একজন মুখপাত্র বলেন- “এধরণের অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না, এইডা কোনো কথা? হ্যাঁ! এতদিন ধরে অপেক্ষা করলাম, আর কোত্থেকে এসে জয়া আহসান এসে আমাদের বাড়া ভাতে হাত দিয়ে দিল? আমরা দরকার হলে এ ব্যাপারে মামলা করবো! আমাদের আন্দোলন চলবে!” কিন্তু সালমান খানের বাড়ির সামনে না হয়ে শাহরুখ খানের বাড়ির সামনে কেন এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন- “কারণ সালমানের বাড়ির সামনে জায়গা নাই, তার উপর এত রৌদ্রে ওখানে দাঁড়াবার কোনো উপায় নেই, এখানে ছায়া আছে বলেই আমরা এখানে এসেছি”।
আর এদিকে জয়ার মায়ের কণ্ঠে ছিল ভিন্ন সুর। তিনি জানান– “এই ছেলেরে নিয়ে একটু সন্দেহে আছি। এই ছেলে সারাদিন খালি গায়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। আমার পাশের বাসার এক ভাবী আমাকে এই নিয়ে ইতিমধ্যে তিনবার বলেছেন যে, এই ছেলে যদি সারাদিন খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় তাহলে আশেপাশের মানুষ মাইন্ড খেতে পারে। তাই আমি ওকে এবং ওর পরিবারকে শর্ত দিয়েছি, বলেছি যে আর খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানো যাবেনা।”
তবে এ ব্যাপারে জানার জন্য জয়া আহসানকে ফোন দিলে তিনি জানান, “ভাই কলকাতায় আছি ইনকামিং কলেও টাকা কাটে, দেশে এসে কথা বলবো নে”।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।