সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে স্কুলের বাচ্চাদের MUN গালা নাইটের একটি ভিডিও, যা দেখে সালমান মুক্তাদিরের মন গলে একাকার হয়ে গেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায় খুব সুন্দর অঙ্গভঙ্গির এবং কোলের উপর বসিয়ে ল্যাপ ড্যান্স সহিত ছেলে মেয়েদের একটি নাচের দৃশ্য, যা অত্যন্ত পারদর্শীতার সাথে সালমানের অভদ্র প্রেমের ভিডিওতে দেখানো উপায়ে সেখানে উপস্থাপন করা হয়. তাই এ ব্যাপারে ততক্ষনাৎ ফোন করে তিনি তার নিজের অনুভূতির কথা তুলে ধরেন আমাদের বিশেষ প্রতিনিধির কাছে। তিনি বলেন- “হ্যালো ভাই, আমি তো একদম শুরুতে নিজের দেশ বলে ধোঁকা খেলেও কিছুক্ষন পর আমার মনে পড়ে যায় আমার অভিনীত এবং গাওয়া অভদ্র প্রেম গানটার কথা। যেটা নিয়া আপনারা ফেইক নিউজ বানাইছিলেন, ঐটার কথা বলতেছি। চিনছেন?” এ পর্যায়ে আমাদের প্রতিনিধি তার অদ্ভুত বিদেশি কিন্তু দেশি গানটা চিনতে পারার আশ্বাস দিলে তিনি জানান – “থ্যাংকস ভাই, আমি আসলে অতি দ্রুত এসব বিশেষ “অভদ্র” বাচ্চাদের জন্য আমার “অভদ্র” গানটিকে উৎসর্গ করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছি। যাতে করে ওরা যেন আমার মত ঘাড় ত্যাঁড়া অভদ্র না হয়ে যায় তাই আমি বিশেষ ভাবে দোয়ার আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই বাচ্চাদের ভিডিও দেখে মনে হয়েছে ওরা এই বয়সেই আমার পথে হাঁটতে শুরু করেছে, তাই আমি দোয়া করছি যাতে তারা সঠিক পথ খুঁজে পায়। কারণ আমাকে গালি দেয়ার জন্য মানুষের অভাব নেই কিন্তু কেউ আমাকে পথ দেখায়নি। ওদের মাঝে আমি আশার আলো খুঁজে পাচ্ছি বলতে পারেন।”
অন্যদিকে MUN এর একজন সদস্য বলেন ভিন্ন কথা- “দেখেন ভাই! আমরা ওই মুহূর্তে বাংলাদেশে ছিলাম না, আমরা বিদেশেও ছিলাম না। আমরা ছিলাম Moon এ। তাই আমাদের দেহে গ্র্যাভিটির প্রভাব কমে যাওয়ায় মাথা কাজ করে নাই। পৃথিবীর বাইরে থাকায় শুধুমাত্র সালমান ভাইয়ের গানটাই আমাদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতেছিলো। তাই উনার গানের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা একটু অভদ্র হওয়ার ট্রাই করেছিলাম। কিন্তু তাই বইলা আমাদের প্রাইভেট জিনিস ভিডিও করে পাবলিক করে দেয়া ঠিক না। আমরা ঐ ভিডিওকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
তবে এভাবে হঠাৎ করে MUN এর ভিডিও লিক আর ভাইরাল হয়ে যাওয়াতে বেশ দুঃখও প্রকাশ করেন সালমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন- “ভিডিও লিক হয়ে যাওয়ার কষ্ট আমার চেয়ে ভালো আর কে বুঝে বলেন? এজন্যই ওদের সবার প্রতি আমার এত সহানুভূতি, আমি ওদের পাশে আছি। ভাবতেছি এবার নিজের গানের লিরিক্স বদলে ‘অভদ্র হয়েছি আমি তোমারই MUN – এ‘ করে নতুন ভাবে আবারো কম্পোজ করবো।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।