বৈশাখ উদযাপন করতে নয় কিংবা এই প্রচন্ড গরমে ঢাকার রাস্তায় লেবুর শরবত খেতেও নয় বরং ঢাকার মানুষের মনের ও শরীরের তাপমাত্রা কমাতে অত্যন্ত গোপনে সানি লিওন ও তার কলিগ মিয়া খলিফা এক গোপন সফরে এসেছিলেন সরাসরি পরীক্ষার হলে. তবে রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয় ঢাকার শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ অভিনেত্রীদের দেখা না পেলেও তাদের দেখা পেয়েছিলেন এই গোপন সফরে তাদের একমাত্র সঙ্গী অত্র স্কুলের এক প্রশ্নকর্তা (অন্যরা স্বপ্নে সানি আর মিয়াকে দেখলেও যিনি প্রশ্নে এদেরকে দেখতে পান)।
আমাদের বিশেষ ও অভদ্র প্রতিনিধি এ ব্যাপারে জানতে উনাদের এই সফর সঙ্গীকে অনেকক্ষন খোঁজাখুঁজি করে একটি চৌবাচ্চায় আবিষ্কার করেন এবং জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান- “দেখেন ভাই! আমি এখন স্পেশাল মোডে আছি এবং অত্যন্ত ব্যস্ত আছি, এই নিয়া আমার কাছে সকাল থেইক্কা ১ হাজার ফোন আইছে। বুড়া, বাচ্চা, জোয়ান সবাই উনাদের দুইজনের সাথে দেখা করতে চায়! বলেন তো ভাই! কি একটা বিপদে পড়লাম! আরে আমি এদের বুঝাইতে পারতেছিনা যে আপারা চইলা গেছে” এই বলেই উনি চৌবাচ্চায় ডুব দেন। একটু পর আবার উঠে আসলে আমাদের প্রতিনিধি উনার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি আরও বলেন- “এই সুন্দরী আপুদের ছোঁয়া পেয়ে আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত গরম (হট) হয়ে গিয়েছে তাই আমি অত্যন্ত গরম অনুভব করছি! এই মুহূর্তে আমার শরীরের ভিতর দিয়া থাউজেন্ড তাপমাত্রা আসা যাওয়া করতেছে! আপনারা ভাগেন আমি এখন কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারুম না! আমি এহন উল্টা আরও একটা প্রশ্ন বানানোর চেষ্টা করতেছি” এই বলেই উনি আবার ডুব মারেন।
তবে এভাবে গোপনে ঘুরে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না ঢাকার কুশীল সমাজের অনেকেই। অনেকেই এসব নিয়ে সানি ও মিয়ার সমালোচনা করছেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় সানি ও মিয়ার অভিনীত যাত্রাপালা ব্যান করার ইভেন্টও খোলা হয়েছে। কেউ কেউ আবার স্ট্যাটাসে উনাদের যাত্রাপালা বর্জনের হুমকিও দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আমাদের অভদ্র প্রতিনিধিকে একজন বলেন- “দেখেন ভাই! এতদিন ধইরা উনাদের যাত্রাপালা দেখি। এতো নিখুঁত ভাবে দেখি আর বারবার দেখি, অথচ উনারা আমার সাথে দেখা না করেই চলে যেতে পারলো? এতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি! এ আমি একদমই মেনে নিতে পারছি না!”
অন্যদিকে সানি আপার সাথে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উনি যাত্রাপালার শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দিলেও মিয়া আপা আমাদেরকে জানান- “ওহ! মাইহ্! গড! আমিতোহ্ বাংলাদেশে গিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছি ওহ্! ওখানে নাকি ইন্টারনেটে আমাদেরকে দেখা যায় না, অথচ এই ভাইয়াটা আমাদেরকে কত্ত মিস করছিলেন বলেইহ্ আমাদের কথা স্মরণ করলেন! তাইহ্! আমরাহ আর দেরিহ্ নাহ্ করেহ্ ওখানে চলেহ্ গেলাম! ওহ! খুব গোউরম লাগছেহ্! আহ্! যাই হোক আমরা এখন থেকে আহ্! প্রতি পরীক্ষায় বাংলাদেশে যেতে চাইহ! বন্ধুরাহ্”
এই পর্যায়ে আমাদের প্রতিনিধি অত্যন্ত ক্লান্ত অনুভব করলে পুরোপুরি কথা শেষ হওয়ার আগেই লাইন কেটে দেন এবং কোথায় যেন হারিয়ে যান।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।