বৈশাখের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ইলিশ ফ্লেভারড বার্গার নিয়ে এসেছে Takeout। এ খবরে ইলিশের বাজারে পড়ে গেছে হাহাকার। কারণ এই খবরের পর থেকে সবাই ঘরের প্লেট, পাতিল, গ্লাস নিয়ে লম্বা লাইন নিয়ে হাজির হয়েছেন Takeout এর গুলশান শাখার সামনে। তবে ইলিশ কেনার শর্তে এক ইলিশ ব্যবসায়ী আমাদের বলেন যে “হায় হায়! আমার তো পুটু মারা শেষ” ভাবসিলাম এই বৈশাখে গত বছর থেকে ফ্রিজে রিজার্ভ করে রাখা ইলিশগুলা বেইচ্যা ঢাকায় আর একটা বাড়ি করবো। গত দুই বৈশাখে দশগুন দামে ইলিশ বেইচ্যা অনেক কষ্টে (WTF!) দুইটা বাড়ি করসিলাম কিন্ত এই Takeout ওয়ালা এইটা কোন কাজ করলো? আমার মতো গরিবের কথা একবারও ভাবলো না? মানুষ তো এখন ইলিশের স্বাদ বার্গার দিয়া মিটায় ফেলবো এইটা কোন কথা বলেন!”
Takeout এর ইলিশ ফ্লেভারড বার্গার আনার সংবাদে হামিনোজ, পাগলা বাবুর্চি, বড়লোক্স সহ অন্যান্য রেস্টুরেন্টগুলোও ইলিশ ফ্লেভারড বার্গার এবং পিৎজ্জা আনার চিন্তা ভাবনা করছে। এছাড়া ইলিশ ফ্লেভারের জুস আনার চিন্তাভাবনা করছে পরাণ বাবু জুস বার, অন্যদিকে এক টুইট বার্তায় পোনার আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর কর্ণধার পান্তা ইলিশ ফ্লেভারের নতুন আইসক্রিম আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে Takeout এর সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অতি উৎসাহী একজন আমাদের প্রতিবেদককে নিজ থেকেই ডেকে বলেন- “ভাই সারাজীবন পান্তা ইলিশ খায়া আসছি বৈশাখে। আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিলো যে বৈশাখে ইলিশ ফ্লেভারড বার্গার খাবো। সে স্বপ্ন এখন পূরণ হতে যাচ্ছে। আশা করি Takeout এরপর ইলিশ ফ্লেভারড পিজ্জা ও পাস্তা আনবে তাদের মেন্যুতে।”
Takeout এর ইলিশ ফ্লেভারড বার্গার একবার টেশ করে দেখার জন্য ট্রেভর মেমস এর মতো নামিদামি ফুড ব্লগাররাও দাড়িয়েছেন এই লাইনে। তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন- “হাই মামা খেমন আছো? ইলিশের বার্গার খাইতে সুদূর আম্রিকা থেইক্যা চইলা আইলাম! কুব ট্যাশ কইরা খামু”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।