সোনামুখী সুঁইয়ে সুতা পরানোর ট্রেনিং নিতে ইউরোপ গিয়েছিলেন Taskকী টিমের ৭ সদস্যের একটি দল। যত ধরনের সুঁই এই পৃথিবীতে আছে, তাদের মধ্যে সোনামুখী সুঁইয়ে সুতা পরানো সবচেয়ে কঠিন বলে দাবি করেছেন উক্ত দলের প্রধান জনাব বিশাল পান্ডে। আমাদের প্রতিনিধি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- “ভাই, দুনিয়ার অনেকগুলো কঠিনতম কাজের মধ্যে এটি অন্যতম। তাই এই কাজটি আরো ভালোভাবে করে, দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করার জন্য Taskকী টিমের ৭ সদস্যের এই দলকে নিয়ে আমি ইউরোপের লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, সার্বিয়া এন্ড মন্টেনেগ্রো গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ট্রেনিং শেষ করে নিজেদের উন্নতি যাচাইয়ের জন্য সুঁইয়ে সুতা পরানোর একটি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছিলাম (দেখুন ভিডিওসহ)“।
এদিকে এ ব্যাপারে Taskকী টিমের সদস্য জনাবা নুজহাত আরা বেগম ও ঐশী খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন দলের আরেক সদস্য জনাব কেরামত বিজয়। তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন- “ভাই, ঐ পরীক্ষায় উনারা একজন আরেকজনকে সাহায্য করেছেন, হারার কথা ছিল ঐশী খাতুন আপার, অথচ নুজহাত আরা আপা উনাকে জিতিয়ে দিয়েছেন। আমি এই অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”
তবে এধরণের অভিযোগের কথা জনাবা ঐশী খাতুন অস্বীকার করলে জনাব কেরামত বিজয় ভিডিও প্রমান নিয়ে হাজির হন আমাদের প্রতিনিধির কাছে। আপনারাও ভিডিওটি এখানে দেখে নিতে পারেন-
অন্যদিকে পরীক্ষায় ফেল করার পরেও জনাবা নুজহাত আরা বেগমকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা যায়। তিনি বলেন- “ভাভাগো ভাভা ভাবা যায়, সোনামুখী সুঁইয়ে সুতা পরাতে গিয়ে তো আমার জীবনটা তেজপাতা হয়ে গিয়েছিলো। বিষয়টা কঠিন, কিন্তু এমন কঠিন হবে ভাবতেই পারিনি। তবে সুঁই সুতা নিয়ে যতই প্যারা খাই না কেন, চান্সে ইউরোপ ঘোরা হয়ে গেলো আমার। আমি সেই হিসেবে জিতেছি।”
সবশেষে দলের প্রধান বিশাল পান্ডে আমাদের আরও জানান যে, “এরপর জোড়া কয়েল আলাদা করা সহ এমন আরো কিছু অদ্ভুত চ্যালেঞ্জের ট্রেনিং নেওয়ার জন্যও Taskকী টিমের সদস্যদের নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা এবং এন্টারকোটিক মহাদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে চাই।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।