এসাইনমেন্ট না করায় রাগ করে অনলাইন ক্লাসে ছাত্রকে থাপ্পড় মারতে গিয়ে ল্যাপটপ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে এক NSU স্যারের। জানা যায়, ক্লাসে ঐ স্যারের থাপড়াথাপড়ির অভ্যাস ছিলো আগে থেকেই, তাই অনলাইন ক্লাসেও একই কাজ করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন সকালে ক্লাস শুরু হওয়ার পর একে একে সবাই এসাইনমেন্ট দেওয়ার পর এক ছাত্র বলে ওঠে স্যার “এসাইনমেন্ট বাসায় রেখে এসেছি”, এরপর স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে “বেয়াদব ক্লাস তো বাসাতেই হচ্ছে, আর কোন বাসায় রেখে আসছিস?” বলে ছাত্রকে থাপ্পড় মারতে গিয়ে ল্যাপটপে থাপ্পড় মেরে ল্যাপটপ ভেঙ্গে ফেলেন।
তবে এই ঘটনায় কয়েকদিন অনলাইন ক্লাস বন্ধ থাকায় স্যারের ছাত্র/ছাত্রীরা লাইভে এসে আনন্দ উল্লাস করছে বলে জানা যায়। ইনস্টাগ্রামে কয়েকশো ফলোয়ার বাড়িয়ে দেওয়ার শর্তে এক আপ্পি বলেন- “কয়েকদিনের জন্য স্যারের অনলাইন থাপড়াথাপড়ির হাত থেকে বেঁচে বড়ই আনন্দ লাগছে।”
এদিকে ল্যাপটপ ভাঙ্গার পর থেকেই ঐ স্যার তীব্র ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছেন, অনলাইন ক্লাসে ছাত্রদের থাপ্পড় দিতে না পারার দুঃখে উনি কারো সাথে কথা বলা, এমনকি খাওয়া দাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।