হঠাৎ করেই ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে রীতিমত একটা ঝড় বয়ে গেছে মানুষের জীবনে। কারণ ফেসবুক ছাড়াও যে বাঁচা যায় তা মনে হয় অনেকেই ভুলে যেতে বসেছেন। তাই ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমরা কি কি করেছি, কি কি করতে পারিনি এবং সেই তালিকার পাশাপাশি থাকছে কি কি করা যেত তার একটি ছোট্ট তালিকা।
গতকাল রাতে ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রাম সাময়িকভাবে অকার্যকর থাকায় দেশি ব্যবহারকারীরা
যা করেছে:
#১ ফেসবুক বন্ধ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার চেষ্টা
#২ গুগলে ফেসবুক বন্ধ হওয়া নিয়ে ঘাটাঘাটি
#৩ CSE পড়ুয়া বন্ধুদের জ্বালাতন
#৪ এটা তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় এর কাজ ভেবে মন্ত্রনালয়ের নামে যা তা বলে যাওয়া
#৫ টুইটার নামেও আরেকটা প্লাটফর্মে অনেক কিছুই করা যায় প্রথমবারের মত সেই ধারণা লাভ
#৬ ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম অ্যাপ একাধিকবার আন-ইন্সটল করে আবার প্লে স্টোর ইন্সটল করা
কিন্তু আফসোস,তারা যা যা করতে পারে নি:
#১ দলবল নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারের ছবি তুলে আপলোড দিতে পারেনি
#২ মুভি দেখতে গিয়ে চেক ইন দিতে পারেনি
#৩ কোনো ফাংশনের জন্য ব্যাপক সাজুগুজু করা মেয়েটা ইন্সটাতে ছবি দিতে পারেনি
#৪ হা করে বসে থাকা মিম লাভাররা নতুন কোনো মিমে “হাহা” দিতে পারে নি
#৫ যাদের জন্মদিন ছিলো তাদের টাইমলাইনে অনেকে রচনা লিখতে পারে নি
#৬ দিনে নিয়ত করে রেখেছিল যে রাতে আরামসে বসে ক্রাশের পোস্টে লাভ রিয়্যাক্ট দিবে, কিন্তু পারে নি
#৭ বার-বি-কিউ এর ছবি “মাই ডে” তে দিতে পারে নি
অথচ তারা যা যা করতে পারতো:
#১ যেসব ভালো বন্ধুদের সাথে অনেকদিন কথা হয় না; কালেভদ্রে ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট হয় তাদেরকে ফোন করে খোজখবর নেওয়া
#২ এই সময়টা তে আর কোন কোন প্রোডাক্টিভ কাজ করা যেত সে ব্যাপারে চিন্তা করা
#৩ ভাই বোন মিলে কেরাম,লুডু কিংবা উনো খেলা; প্রয়োজনে বন্ধুদের ডেকে আনা
#৪ কত টা সাজলাম,কেমন দেখাচ্ছে তা নিয়ে মেয়েদের ব্যস্ততা একটু কমিয়ে যার জন্যে সাজলাম তার দিকে আরেকটু নজর দেওয়া
#৫ পরদিন কোন সিনিয়র,ব্যাচমেট কিংবা ফ্রেন্ড এর জন্মদিন উপলক্ষে তার টাইমলাইনে পোস্ট না করে ফোন করে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানানো
#৬ যেসব পড়া পরদিনের জন্য না পড়লেই নয় সেগুলোর দিকে ফেসবুক, ইন্সটা বন্ধের অজুহাতে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া