আপনার কলিজা যত বড়ই হোক না কেন, লিফটে আটকা পড়লে সেটা কাঁপে না- এই কথা আপনি অনন্ত জলিলের মতো কলিজা (হার্ট না) খুলে দেখালেও আমরা বিশ্বাস করবো না। কেননা আপনার মতো আমরাও লিফটে আটকা পড়েছি আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এমন পরিস্থিতিতে কি কি চিন্তার উদ্ভব হয় তা আপনাদেরকে জানাতে এসেছি।
১. ক্লাস/ কাজ ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা – অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাসে কিংবা অফিসে যাওয়ার সময় লিফটে আটকা পড়লে এই অজুহাতে আরো একটু দেরি করে ঘুরে ফিরে যাওয়া যায়, মজাই লাগে
via GIPHY
২. ক্রাশের সাথে বেশি সময় কাটানোর চিন্তা – আপনার ক্রাশ এবং আপনি লিফটে আছেন এমন সময় লিফট আটকা পড়লে নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না যে লিফটটা সাথে সাথে চলতে শুরু করুক, তাই না?
via GIPHY
৩. এক্সাম বা মিটিংয়ে দেরি হয়ে যাওয়ার চিন্তা – সবকিছুতে তো আর ফাঁকি দেওয়া যায় না, মানায়ও না। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং কিংবা এক্সাম দিতে যাওয়ার সময় লিফটে আটকে গেলে কিন্তু ব্যাপারটা আসলেই স্ট্রেসফুল হয়ে যায়
via GIPHY
৪. লিফট আবার চালু না হওয়া সম্পর্কিত চিন্তা – বলা বাহুল্য, আটকা পড়া লিফটে সময় যত গড়ায় মনে মনে টেনশনের মাত্রা কিন্তু ততই বাড়তে থাকে। কখন বের হবো, এতো সময় লাগছে কেন, টেকনিশিয়ান দেরি করছে কেন- এমন আরো কত প্রশ্ন যে মনের মধ্যে উঁকি দেয়!
via GIPHY
৫. Worst Case Scenario টাইপ চিন্তা – তারপর মাথায় আসে একদম চরম পরিস্থিতি সম্পর্কিত চিন্তা। “যদি লিফটটা খুলে পড়ে যায়?” “যদি কেউ হেল্প করতে না আসে ?” “যদি এইভাবে কয়েকদিন আটকে থাকতে হয়?”- এমন আরো কত চিন্তা যে মাথায় ঘুরপাক খায়!
via GIPHY
৬. বিভিন্ন ধরণের আফসোস জাতীয় চিন্তা – লিফটে আটকে থাকার এক পর্যায়ে লিফটে উঠার সিদ্ধান্ত নিয়েই রিগ্রেট করতে মন চায়। “কেন আজকে লিফটে উঠতে গেলাম”, “সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই পারতাম” – এগুলো ভাবতে ভাবতেই সময় পার করা
via GIPHY
৭. সারভাইভাল ট্যাক্টিক সম্পর্কিত চিন্তা – চিন্তা এবং দুশ্চিন্তার এক পর্যায়ে কিভাবে লিফটে আটকা পড়ে থাকলে সারভাইভ করা যায়, এমন এক্সট্রিম চিন্তাও মনে এসে ভিড় জমায়।