মারভেল চলচ্চিত্র মহাবিশ্বের (MCU) এর অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র স্পাইডার ম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করে টম হল্যান্ড যেমন বিখ্যাত হয়েছেন তেমনি গতবছর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় অ্যাভেঞ্জার: ইনফিনিটিওয়ার (২০১৮) এর স্পয়লার বিভিন্ন টকশোতে প্রকাশ করায় তাকে পড়তে হয়েছিল পরিচালকদের তোপের মুখে। তাই উপযুক্ত কারণেই এবার “অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেইম” এর স্ক্রিপ্ট হল্যান্ডকে পড়তেই দেননি ছবির পরিচালক। তার সংলাপ তাকে দেওয়া হয়েছে টিস্যু পেপারে লিখে, যেন দ্বিতীয়বার ব্যবহারের পর সেই সংলাপেরও কোনো অস্তিত্ব না থাকে।
অথচ অন্য অভিনেতাদের সাথে এতো বৈষম্য করা হয়নি। শুধু টম হল্যান্ড স্ক্রিপ্ট পড়তে চাইলেই তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে “আরব্য রজনী” কিংবা “গালিভার্স ট্র্যাভেলস” এর মতো প্রাচীন বই। এ ব্যাপারে টম হল্যান্ডকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন “তারা চাইলে অবসরে পড়ার জন্য আমাকে হিমু বা মিসির আলী সমগ্রও দিতে পারতো। সারাদিন কাজ করার পর পাঠ্যবই এর গল্প পড়তে কেমন লাগে আপনারাই বলেন?”। নিজের মুভির স্ক্রিপ্ট পড়তে না পারার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছে না টম।
পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে টম বললেন, ”আসলে এরকম কিছু করলে তা দৃষ্টি কটু লাগবে। লোকে বলবে যে থালায় খেয়েছি সেই থালাতেই ‘ইয়ে’ করেছি। তাছাড়া অকারণেই মজা নেওয়ার জন্যে ডিসি’র ভাইরা তো আছেই। আমি যা করবো তা রুশো ভাইয়ারা কইতেও পারবেনা সইতেও পারবেনা” এই কথা শেষ করেই তিনি নিজের ওয়াল্টন প্রিমো টাচস্ক্রিন ফোন বের করে মুহুর্তেই রুশো ভাইদের শেয়ার করা সব মিমে “লাইক” দেওয়া শুরু করে দেন আর হাসতে হাসতে বলতে থাকেন, “একটু চালাক না হইলে হলিউডে টেকা খুউব কঠিন”।
লাইক দেওয়ার প্রতিক্রিয়া রুশো ভাইদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,” ছেলেটার বয়স অল্প। ওই বয়স আমরা পার করে আসছি”।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।