শহরের আগ্রাবাদ এলাকার কালা মিয়া নামক একজন মাছ ব্যবসায়ী ও ধলা মিয়া নামক আরেক পান ব্যবসায়ীকে আজ সকালে জরুরি ভিত্তিতে চট্টলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ড: ডাকু মোল্লা জানান- “রোগীদের অবস্থা এখনও আশংকাজনক। যেকোনো মুহূর্তে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। অতিরিক্ত সাফোকেশনের কারণে এমনটা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে আমাদের এখানকার ইন্টার্ন ডাক্তাররা। আমাদের ডাক্তারি ভাষায় এই ধরণের ঘটনাকে আমরা ‘গালিফিকেশন‘ বলি। যখন কোন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কিছু আটকে রাখেন তখন সেটা তার হার্টের মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতে একটা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আকার ধারণ করে এবং ফাইনালি আক্রান্ত ব্যক্তির নিঃশ্বাস আটকে দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। তবে এই জ্ঞান ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফেরত না আসলে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে”
এই ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে তা জানতে আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আগ্রাবাদ বাজারে গেলে তাকে এক দোকানদার বলেন- “রোজার মাসোর ফইল্লার দিনোত্তু হালা ভাই এদ্দে ধলা ভাইওর অবস্থা হারাপ, চিটাংওর মাইনসরত্তুন গোড়াবছর গালি দিবার অভ্যাস, আর হঠাৎ গরিয়েরে এই রোজার মাস আইউনে ইতারা দুনোজোনে হতা হইত নফারের”
এদিকে কালা ভাইয়ের স্ত্রী জানান – “ইবা হদিনদরি গরোত আইয়েরে বুকত দুক ফার ফার নান গরে, কিছু ফুজ গরিলে কিছু হইত নো পাইরতো। শুধু চাই তাইতো। ইয়া কি অইবুদে আর” এই বলেই কালা ভাইয়ের স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তবে মাউন্ট এলিজাবেথের একদল গালিফিকেশন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে- “উনাদের গালি দিতে দিলেই উনারা সুস্থ হয়ে যাবেন। তাই বাংলাদেশী ডাক্তারদের উচিত অতি দ্রুত এই ব্যবস্থা নেয়া। অথবা গালি দেয়ার জন্য তাদেরকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয়া।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।