সারাদিন বাঙ্গি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল করে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে বাঙ্গি খাওয়ার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন উত্তরার অন্তু নামের এক তরুণ। জানা যায়, তিনি নিজে “বাঙ্গির বিরুদ্ধে চলো যাই যুদ্ধে” নামক একটি অনলাইন ভিত্তিক বিদ্রোহী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাই প্রতিদিন এই ফেবু গ্রুপ ছাড়াও নিজের ফেবু প্রোফাইলে কমপক্ষে ৫টি বাঙ্গি বিরোধী পোস্ট করে নিজেকে একজন সফল বাঙ্গি বিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু তারই আরেক বন্ধু লিটন যার ফ্ল্যাটে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বাঙ্গি খাওয়ার সময় একদম হাতে নাতে আটক করে লাইভে তার কু-কর্ম ফাঁস করে তার কিছু বিরোধী পক্ষ। এ ব্যাপারে অন্তু ভাইয়ের থেকে জানতে তাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন- “আসলে হইসে কি… আছে না… সরকারের…” এই পর্যায়ে আমাদের প্রতিবেদক তার শরীর ধরে ঝাকি দিলে তিনি যোগ করেন- “ব্যাপারটা আপনারা যেমন ভাবছেন তেমন কিন্তু না, আমি আসলে বন্ধু লিটনের ফ্ল্যাটে গিয়ে পাকা পেঁপে খাচ্ছিলাম, বাঙ্গি না। আর এ সময় কিছু কুচক্রীমহল একদম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার বদনাম করার জন্য পেঁপেকে বাঙ্গি হিসেবে চালিয়ে লাইভে এসে আমাকে হেনস্তা করেছে। এটা একদম মিথ্যা একটা ষড়যন্ত্র আমার বিরুদ্ধে। তবে স্থান হিসেবে লিটনের ফ্ল্যাট বলে আপনারা আবার মাঝখান দিয়ে অন্য কিছু মনে কইরেন না।”
এদিকে অন্তুর এমন হিপোক্রেসির খবর সবার সামনে উম্মোচিত হওয়ায় বাংলাদেশ বাঙ্গি লাভার এসোসিয়েশন (বালা) এর সদস্যরা এক আনন্দ মিছিল করে বিজয় সরণির সিগন্যালে বসে বাঙ্গির জুস খেয়েছে। তখন তাদের বর্তমান ইন্টার্ন সভাপতি তাইজুল বলেন- “দেখছেন ভাই, সারাদিন ট্রল করে ঠিকই কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে বাঙ্গির পোলারা ঠিকই বাঙ্গি খায়। এরা আসলে ডিজিটাল মীর জাফর। এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।”
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।