অবশেষে সবার সম্মতিতে উত্তরাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে কিংস ল্যান্ডিংয়ে অবস্থানরত অন্যান্য এলাকার নেতারা। উক্ত মিটিংয়ে সবাই যার যার নিজ এলাকাকে কিংস ল্যান্ডিংয়ের আওতায় অর্থাৎ নতুন রাজা ব্র্যানের ছায়াতলে নিজেদেরকে ঘোষণা করলেও শুধুমাত্র উত্তরার মেয়ে সানসা স্টার্ক এমন সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়ে আসেন এবং নিজ থেকে নিজ এলাকার প্রতি অগাধ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে উত্তরাকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন- “উত্তরাকে নিয়ে সবাই অনেক মজা করে, ট্রল করে এবং মিম বানায়। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেইসব কাল্প্রিটদেরকে পিটিয়ে তক্তা বানাতে হবে। আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম, মাই গ্রেস। তার উপর বাকি ছয় রাজ্যের সাথে আমার এলাকার কোনো মিল নেই। আমাদের এলাকায় মেট্রোরেল আছে, সুন্দর সুন্দর রাস্তা আছে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশও আছে। তাই অন্যান্য এলাকার মানুষজন আমাদের দেখে হিংসা করে!” যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তানের মতো এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় উত্তরায় চলছে আনন্দের বন্যা। কেউ কেউ অতি আনন্দে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইলেকট্রিক খাম্বাকে জড়িয়ে হাঁউমাঁউ করে কান্নাকাটি করছে আবার কেউ কেউ রোজা ভেঙে মিষ্টি মুখ করে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছে। কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে ঈদের আগেই কোলাকুলি করে এমন খুশির সংবাদ উদযাপন করছে।
এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি এক যুবককে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান- “ভাই সানসা আপা হলো আমাদের আপন বইনের মতো, উনি না থাকলে উত্তরার জন্য এমন অর্জন কে এনে দিত?” এইসব বলে তিনি আবেগে দৌড়ে চলে যান এবং যাওয়ার সময় বলেন “দ্য কুইন ইন দ্য নর্থ”
এদিকে সানসা স্টার্কের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- “আমি এখন আমার এলাকার মানুষের মুক্তির জন্য তৈরী হচ্ছি, চেষ্টা করছি ড্রাগনটাকে নিয়ে আসার জন্য। যদি পেয়ে যাই তাহলে ঢাকার ট্রল করা পোলাপানদের খবর আছে, হুঁহ!”
এই খবর শুনে আমাদের প্রতিনিধিও কিছুটা ভয় পেয়ে যান। কারণ উনি নিজেও এইসব ট্রল করা লোকজনের অংশ। তাই কথা শেষ করে তিনি পালিয়ে যায়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।