শেষ যে স্কিলটা আমি ডেভেলপ করেছিলাম তা হলো ২ বছর বয়সে হাটতে শেখা। এরপর আমার বাকি জীবনে আমি কিছু শিখেছি বলে মনে করতে পারছি না।
via GIPHY
আমার বন্ধুরা কেউ বাইরে চলে যাবে, কেউবা নিজের ক্যারিয়ার কিভাবে গুছাবে তা নিয়ে ব্যস্ত, আর আমি ব্যস্ত এক সিরিজ শেষ করে আরেক সিরিজ শুরু করা নিয়ে। আসলে মানুষ কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিরিজ দেখে আর আমি সিরিজ দেখার ফাঁকে ফাঁকে কাজ করি, এটা আমার সিক্রেট ট্যালেন্ট বলতে পারেন।
via GIPHY
প্রেমটা আমার ভেঙ্গে গেল এই চক্করে পড়েই, আমি এক গোবেচারা মানুষ যার জীবনে এই সিরিজ দেখা ছাড়া কিছু নেই, তাকে কিনা প্রেমিকা অন্য মেয়ের সাথে লটরপটরের অভিযোগে ছেড়ে চলে গেল। যাক, তাতেও কষ্ট নেই, কারণ প্রেমিকা আর সিরিজ দেখার মধ্যে সিরিজটাই উত্তম। ওদের মতো করে কেউ আমাকে বোঝে না, আবার ওদের না বোঝার জন্য কানের কাছে ঘ্যানঘ্যানও করতে থাকে না, আর কি চাই বলেন?
via GIPHY
আমার কাছে ডিপ্রেশন থেকে শুরু করে অন্য যেকোন সমস্যার সর্বরোগের মহৌষধ একটাই, আর তা হলো সিরিজ দেখা।
via GIPHY
আড্ডায় গেলে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়, কেন জানেন? সবার কথার বিষয়বস্তু কাজ, প্রেম বা বিয়ে, এসবের মাঝে শেষ যে সিরিজটা দেখেছি সেটা নিয়ে কথা বললে কেউ কিছু বুঝেই না, কিয়েক্টাবস্তা। মাঝেমধ্যে মনে হয় নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন বা লোকাল মুভি সার্ভার, এরাই আমার প্রকৃত বন্ধু, কারণ লকডাউনের সময় এরা যদি না থাকতো আমার যে কি অবস্থা হতো ভাবা যায়?
via GIPHY
বন্ধুরা বিয়ে করে ফেলছে কেউ কেউ। অনেকের তো বাচ্চাও হয়ে গেল। যে কিছু করছে না সেও নতুন কোন স্কিল শেখা নিয়ে কাজ করছে, আর আমি এখনও কি সিরিজ দেখবো সেটাই ঠিক করতে পারলাম না।
via GIPHY
প্রতিদিনই ভাবি- নাহ আজই শেষ, এখনই শেষ, এই সিজনটা শেষ করেই একটু সিরিয়াস হবো, নিজেকে এবার একটু গুছিয়ে নিব। কিন্তু একটা শেষ করতে না করতেই, আরেকটা খোঁজ করতে করতে দেখি কয়েকঘন্টা পার হয়ে যায়। আর যখন খুঁজে পাই তখন নিজেকে নিজেই বলি- যাক আর দেখবো না, এটাই শেষ!