রাজশাহীর সাহেব বাজার মোড়ে রাতে ঘুমের মধ্যে হাসানুল নান্না নামক ব্যক্তির হাঁচির আওয়াজে তার স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পর ঐ ব্যক্তিকে পুলিশ এসে রোল দিয়ে বাড়ি মারতে মারতে থানায় নিয়ে গিয়েছে। তবে পুলিশ আপাতত স্কচটেপ ও গামছা দিয়ে উনার মুখ বেঁধে রেখেছেন।
প্রতিবেশীদের একজন ডিএসএলার দিয়ে ভালো ছবি তুলে দেয়ার শর্তে বলেন- “এই ব্যাটার হাঁচির আওয়াজে বাসায় থাকা দায় হয়ে গেসিলো। সারাক্ষণ আতংকে থাকা লাগতো কখন হাঁচির আওয়াজে বাড়ি ঘর না ভেঙে পড়ে। আর ভাই হাঁচি মানে শুধু হাঁচি না, পুরাই ভুমিকম্প। কত রাত যে নির্ঘুম কাটসে এই ব্যাটার জন্য, কাপাকাপিতে ঘুম ভাইঙ্গা গেসে ভুমিকম্পের ভয়ে টেবিলের উপর উঠার পর বুঝতে পারসি এই নান্না মিয়া হাঁচি দিসে। আমাদেরই এই অবস্থা তাইলে চিন্তা করেন বেচারি বউ কেমনে থাকতো।”
তবে পুলিশ ধরার বিষয়টি ক্লিয়ার না হলেও জানা যায় যে নান্না মিয়ার বউ আগে থেকেই এডভান্স জিডি করে রেখেছিলেন থানায়, এই মর্মে যে তার কিছু হলে তার জন্য দায়ী একমাত্র তার স্বামীর হাঁচি। প্রতিদিনই নান্না মিয়ার এমন বিকট হাঁচির জন্য নান্না মিয়ার সাথে তার বউয়ের ঝগড়াঝাটি হতো আর বউ রান্না বান্না বন্ধ করে রাখতো।
নান্না মিয়ার বউয়ের খবরাখবর জানতে হাসপাতালে গেলে তার শালা কান্নাকাটি করে বলতে থাকেন “কেনো দেইখা শুইনা এমন লোকের কাছে বোন রে বিয়া দিলাম। হাঁচি দিয়া আমার বোনরে আজ হাসপাতালে পাঠায়া দিসে আমি এই লোকের উপযুক্ত শাস্তি চাই এবং পুলিশে ধরায়ে দিতে চাই।”
তখন আমাদের প্রতিবেদক তাকে জানায় নান্না মিয়াকে অলরেডি পুলিশে ধইরা নিয়া গেসে। এটা শোনার পর তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন “তো কি হইসে লাগলে ঐ ব্যাটারে জামিনে বের কইরা আমি নিজে আবার ধরায়া দিমু!”
তবে এ ব্যাপারে নান্না মিয়ার অভিব্যক্তি নিতে বললে আমাদের প্রতিবেদক হাঁচির ভয়ে সেখানে যাননি।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।