বুলেট ট্রেনের গতিতে সাবস্ক্রাইবার কমে যাওয়াতে সালমানকে দেয়া “গোল্ড প্লে বাটন” ফেরত নেয়ার জন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষের ৫ সদস্যের একটি বিশেষ টিম আজ সকালে ঢাকায় অবতরণ করেছেন। অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে তারা সালমানের বাড়ির সামনে হাজির হলেও তাকে খুঁজে পাননি বলে দাবি করেছেন দলের প্রধান টিমহেড নামক ব্রিটিশ নাগরিক। তিনি বলেন- “আমরা যখন এসেছি তখন দেখলাম কেউ একজন বোরকা পরিহিত অবস্থায় আমাদের সামনে দিয়ে ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান গাইতে গাইতে বের হয়ে গেলেন। কিন্তু কিছু ওঠার আগেই বোরকা পরিহিত মানুষটি বাড়ির নিচে গিয়ে দৌড়ে পাশের গলিতে ঢুকে হারিয়ে গেল। আমাদের মনে হয়েছে সেটি সালমান মুক্তাদির। এবং একই সাথে আমরা বুঝতে পারলাম চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে, তাকে আসলে শুরুতেই আটকানো উচিত ছিল আমাদের।”
এদিকে এই বাড়ির নাইট গার্ড কালা মিয়া একবার এসে আমাদেরকে বলে গেল – ‘আপনারা ঢুকলেন কেমনে ভাইজানরা? তাইজ্জব ব্যাপার! এইডা চিন্তা কইরাই কুল পাইতাছিনা, এই বাড়িতেতো কেউ ঢুকতে পারেনা। আরে মিয়া! বাড়ির বাইরের কাচ ভাইঙ্গাও মানুষ ঢুকতে পারলোনা আর আপনারা ডাইরেক্ট ঢুইক্কা গেলেন?!, জিতসেন ভাই, জিতসেন।’ তিনি আরও বলেন – “এসব শুনে আমরা কিছুই বুঝতেছিনা তাই আপাতত আমরা ভাবতেছি সালমান ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের পুরো দল নিয়ে বাড়ির সামনে সহাবস্থান করবো এবং আমাদের বিশেষ জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে তাকে খুঁজে বের করবো। এই ব্যাপারে আমাদের দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে জিপিএস টিমের সাথে যোগাযোগ করেছে।” হঠাৎ করেই কেন ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিল, এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে টিমহেড বলেন- “আমাদের সিইও বলেছেন সালমানকে না পেলে নাই কিন্তু যে করেই হোক এই সোনার বাটন আমার চাইই চাই। কারণ এই বাটনের ইজ্জতের জন্য অনেকেই কষ্ট করেছেন, তাইও এভাবে এই বাটনের ইজ্জত নষ্ট করতে দেয়া যাবেনা, তার উপর উনি শুনেছেন যে সালমান নাকি এই সোনা দেখিয়ে জনগণের সাথে অন্যায় করে যাচ্ছেন এবং সালমানকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হলে তিনি সিইওকে মধ্য আঙুলের ছবি তুলে ইনবক্স করেছেন।”
এ ব্যাপারে আমাদের গোপন প্রতিনিধি সালমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, সালমান জানান – “ও ভাইরে ব্রো! দৌড়ের উপর আছি। আমি আসলে দিজ ভিডিওটা মেকিং করতেছিলাম বিকজ অফ আওয়ার দেশে পর্ন সাইটগুলো ক্লোজ হয়ে গেছে। নাউ আমাদের ইয়াং সমাজের কি হবে, বলুন? একবার থিংক করে দেখুন আমি কি ব্যাড কিছু করেছি? আমি যা করেছি টাকা কামানোর জন্য থুক্কু তরুণ সমাজকে আনন্দ দেয়ার জন্য করেছি। এখন ভাই আপনাদের ভাল না লাগলে, ইউ গাইজ ক্যান আনসাবস্ক্রাইব মি। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার ব্যাক্কাপ আচ্ছে ভায়া!” এরপর উনি লাইন কেটে দিলে আমাদের গোপন প্রতিনিধি তাকে আবারো ফোন করে। তবে এবার তিনি বলেন- “এনিথিং হোক আমার সাথে, আমি কোনোভাবেই এই সোনা ইউটিউবকে ফেরত দিবোনা ভায়া! দরকার হলে আমি ফরেস্ট গাম্প হয়ে বছর খানেক দৌড়াবো। কেউ আমাকে থামাতে পারবে না! আমি আলী জি স্টারের এক নাম্বার ফ্যান”
সম্প্রতি নিজের চ্যানেলে দেয়া একটি ভিডিওতে সালমানকে দেখা গিয়েছে এক মেয়েকে নিয়ে বেশ খোলামেলা (সো কলড ফষ্টিনষ্টি) অবস্থায় একটি মিউজিক ভিডিওর বিহাউন্ড দ্য সিনের টিজার পোস্ট করেছেন। উক্ত ভিডিওটিতে উনাদের দুজনকে দেখা যায় বিছানায়, কিচেনে এবং ঘরের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি মিউজিক ভিডিওর কায়দায় কোলাকুলি করার ব্যর্থ ট্রাই করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা একটি পূর্ণাঙ্গ কোলাকুলি করতে পারছেন না। আর এমন দৃশ্য দেখেই বাংলাদেশি ফেসবুক কমিউনিটি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এর ঘোর বিরোধিতা ঘোষণা করেছেন। সেই সুযোগে তাহসিন্যাশন রোস্ট করার ইচ্ছায় বেশি করে আদা-মসল্লা মিশিয়ে ঘটনাটিকে আরও বেশি মুখরোচক করে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। এখন দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।