কয়েকদিন ধরেই শহরে গরম বেশ ফর্মে আছে। ওয়াসার গরম, গেম অফ থ্রোনসের গরম, সৌম্য সরকারের গরম, সবকিছুর সাথে মিলিয়ে সূর্যের গরমও বেশ ফর্মে আছে কয়েকদিন। গরমের মুহুর্মুহ ইয়েতে ঢাকার মানুষ কোনভাবে দাঁড়াতে পারতেছে না। কেউ সাহস করে দাঁড়ালেও গরমের ইয়েতে জলীয়বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে।
এমন গরম থেকে ঢাকাবাসীকে বাঁচাতে “শীতের ইয়ে ইজ কামিং” স্লোগানে ঢাকাবাসীকে ফ্রিতে এসির বাতাস সরবরাহের ঘোষণা দেয় বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। এই ঘোষণাটা ঢাকাবাসীর জন্য জল না চাইতে শরবত পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে আসে। ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে বসুন্ধরা সিটির সামনে গরমে নাকাল, অর্ধসার ও ডিহাইড্রেশনে ভোগা অসহায়, দুস্থ মানুষদের ভীড় বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। সকাল হতেই সেই ভীড় বসুন্ধরা সিটি থেকে বাড়তে বাড়তে ঢাকা ওয়াসায় গিয়ে ঠেকে।
“আবার কারা শরবত খাওয়াতে এলো” এই ভয়ে কারওয়ান বাজার মোড় থেকে ফিরে যেতে থাকা ওয়াসার এমডি জানতে পারে এরা আসলে শরবত খাওয়াতে আসে নি, এসেছে খেতে। এসির বাতাস খেতে। তারপরও তিনি ভয়ে অফিসে যাওয়ার আগে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে জানান-তাড়াতাড়ি বসুন্ধরা সিটির গেট খুলে দিতে, না হলে তাদের নাকে মুখে ওয়াসার পানির ছিটা দেয়া হবে! এই কথা শোনার সাথে সাথে বসুন্ধরা সিটির কিছু দুর্বল চিত্তের কর্মকর্তা সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যায়। বাকিরা ভয়ে ও আতঙ্কে জুবুথুবু হয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে বসুন্ধরা সিটির গেট খুলে দেয়।
খুলে দেয়ার সাথে সাথেই দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলোর উপর ভর করে উসাইন বোল্টের আত্মা। তারা আলোর গতিতে দৌঁড়ে বসুন্ধরা সিটিতে ঢোকা শুরু করে। ঢোকার পথে সিড়িতে কয়েকজনের উপর থেকে ভর করা বোল্টের আত্মা বের হয়ে গেলে তারা সিড়িতেই পরে যায় ও মারাত্মকভাবে আহত হয়। কিন্তু আহত হলে হাল না ছেড়ে তারা গড়াগড়ি করে ভিতরে প্রবেশ করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কানায় কানায় ভরে যায় বসুন্ধরা সিটি।
এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি বেঙ্গল বিটসের প্রতিনিধি। কিছু সময় বাইরে দাঁড়িয়ে রোদের ইয়ে খেয়ে চলে আসার পথে মিরপুর থেকে অ্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড গেমের টিকেট কাটতে আসা দুই যুবক জানান- “ঢাকায় এত গরীব ও দুস্থ মানুষ আছে জানতাম না। জানলে মিরপুর থেকে ৭২ ঘন্টার জার্নি করে ঢাকায় না এসে, মঙ্গল গ্রহে গিয়েই অ্যাভেঞ্জারস এন্ড গেম দেখতাম।”
প্রচন্ড গরমে নিজের জীবন বাজি রেখে এই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি পাঠকের জন্য নিয়ে এসে নিজের দায়িত্বের প্রতি কঠিন শ্রদ্ধার প্রমান দিয়েছেন জনাব নাজমুল হক
বিঃদ্রঃ পীথাগোরাস একদা বলেছিলেন – “ইন্টারনেটে প্রচলিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া” সুতরাং যেখানে যা দেখেন তা যদি বিশ্বাস করার অভ্যাস/বদভ্যাস আপনার থেকেই থাকে তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।
আরও পড়ুন –